টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেছে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক। মূলত প্রধান মূল্যসূচককে পতনের হাত থেকে রক্ষা করেছে বিমা খাত।
বিমা খাতের ওপর ভর করেই টানা পাঁচ কার্যদিবস পর ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান নাম লিখিয়েছে। তবে বাজারটিতে লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে কম। এরপরও বাজারটিতে সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুর দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানর শেয়ার দাম কমে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুর দিকে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে দুপুর ১২টার পর একের পর এক বিমা কোম্পানির দাম বাড়তে থাকে। এতে সূচকও পজেটিভ হয়।
অবশ্য লেনদেনের শেষদিকে কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এরপরও দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির। আর ১৬১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় বিমা কোম্পানি রয়েছে ৪২টি। আর দাম কামার তালিকায় বিমা কোম্পানি আছে ৫টি।
বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন কমে তিনশো কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৪০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ১৭ আগস্টের পর বাজারটিতে সর্বনিম্ন লেনদেন হলো।
টাকার অঙ্কে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে খান বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২ কোটি ৯১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এমারেল্ড অয়েলের ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডি থাই অ্যালুমেনিয়াম, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, ফু-ওয়াং ফুড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, জেমিনি সি ফুড, ইউনিক হোটেল এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪২টির এবং ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।