ডেইলি সংকেত ডেস্কঃ জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএস আইয়ের নাম ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই নিয়ে মিথ্যাচার করেন। রিক্সা চালক থেকে রাজ যোগালি তারপর সাংবাদিক সীমান্ত খোকন।
কে সেই সীমান্ত খোকন শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রাইমারি স্কুল গণ্ডি পার হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন করা হলে আপনি কোন কলেজের ছাত্র, প্রতারক সীমান্ত খোকন দূরের কোথাও এক সুনামধন্য কলেজের নাম বিক্রি করে যা তত্ত্ব প্রমাণ নিলে সম্পূর্ণ ই প্রতারক হিসেবে প্রমাণিত হবে। আশুগঞ্জ উপজেলা শরীফপুর গ্রামের মাদকাসক্ত শামীম মিয়ার ছেলে
সীমান্ত খোকন।
সীমান্ত খোকনের বাবা এলাকায় চিহ্নিত মাদক সেবনকারী যা ডুব টেস্ট করলেই প্রমাণ করবে। সীমান্ত খোকনের বাবা মাদকাসক্ত হওয়ায় ঠিকমতো সীমান্ত খোকনকে দেখভাল করতে পারিনি। তখন থেকেই সীমান্ত খোকন দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে মিশে একটি নতুন পন্থায় জীবিকা নির্বাহ করার জন্য সাংবাদিকতা পেশা বেচে নেই, তখন থেকেই শুরু হয় নতুন এক প্রতারণা।
সীমান্ত খোকন বিভিন্ন সাংবাদিকদের ক্যামেরা পার্সন হয়ে কাজ করবে বলে সাংবাদিকদের মন জয় করার চেষ্টা করেন। এমনকি কিছু লেখা আইত্তে নিয়ে আসেন।
প্রতারক সীমান্ত খোকন এটাও জানতেন যে সাংবাদিকতা করতে গেলে প্রত্যেকটা পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল সম্পাদক বরাবর বায়োডাটা দিতে হয়, পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। সীমান্ত খোকন জৈনক এক বন্ধুর এইচ এস. সি সার্টিফিকেট নিয়ে নিজের নাম ও মা বাবার নাম এডিট করে বসিয়ে প্রত্যেকটা বায়োডাটা তৈরি করেন প্রতারক সীমান্ত খোকন।
প্রতারক সীমান্ত খোকন ফেইসবুক চালু হওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকদেরকে দিয়ে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন। ওইসব দপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর, অভিযোগ দেয়ার পর রিসিভ কপি হাতে পেলে শুরু হয় সীমান্ত খোকনের ব্ল্যাকমেইল। যা ইতিপূর্বে বিভিন্ন লোক দিয়ে ফুসলিয়া ফাসলিয়ে মামলা করাবে ওই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাই বলে ব্ল্যাকমেইল করে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছেন। আরো কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক ……অফিস থেকে নিয়েছেন ৬০ হাজার টাকা, প্রতারক সীমান্ত খোকন বিভিন্ন জায়গায় যখন ব্ল্যাকমেইল করতে করতে একসময় ভুল করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের এক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করাই সীমান্ত খোকন কে মারতে শুরু করেন তখন দৌড়াইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ১ নং পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
পরবর্তীতে সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিনকে ধরে ওই জেলা ছাত্রলীগের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রানভিক্ষা চান, জীবনে বেঁচে থাকলে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করবে না। কে শুনে কার কথা, প্রতারিত হওয়া মানুষগুলো নিজেকে বদলাতে পারে, কিন্ত প্রতারক কোনদিন নিজেকে বদলাতে পারে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্যাংকের পার পৌর কমিউনিটি সেন্টার দ্বিতীয় তলায় একটি অফিস ভাড়া নেই। সেখান থেকে টাকা পয়সা মেরে পালিয়ে যাই প্রতারক সীমান্ত খোকন। বিভিন্ন সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রতারকদের বিরুদ্ধে জুড়ালো ভূমিকা না নেওয়ায় সীমান্তর মত প্রতারক দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রিক্সা চালক থেকে রাজ যোগালী তারপর ব্ল্যাকমেলার হয়ে যায় সাংবাদিক।
সীমান্ত খোকনের ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইল করে যাচ্ছেন যা প্রমাণ করবে বায়োডাটা সংগ্রহ করলে।
রহস্যজনক কারণ হলো প্রতারক সীমান্ত খোকনের মুখে যখন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএস আইয়ের নাম ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই নিয়ে মিথ্যাচার করেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা দপ্তর থেকে কোন প্রকার তথ্য-প্রমাণ প্রতারক সীমান্ত খোকনের কাছ থেকে না চাওয়ায় দিনের পর দিন বিভিন্ন অন্যসব সরকারি চাকরিজীবীদের ব্ল্যাকমেলর মাধ্যমে দিনের পর দিন মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রতারক সীমান্ত খোকনের আপন চাচা মামুন মিয়ার স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর কথাবাত্রা রটালে প্রতারক সীমান্ত খোকন নিজের অপকর্ম ঢাকতে গিয়ে চাচাকে আশুগঞ্জ ইউএনও কে দিয়ে মাদক সেবনকারী হিসাবে পরিচয় করে দিয়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড করিয়ে নেন প্রতারক সীমান্ত খোকন।
বিভিন্ন দপ্তর গুলোতে যখন জানতে পারে প্রতারক সীমান্ত খোকনের গোয়েন্দা দপ্তরের সাথে কথাবার্তা হয়, তখন স্বাভাবিক ভাবেই অনেক সরকারি কর্মকর্তা মনে করেন মিথ্যে তথ্য দিয়ে হয়রানি করবে। তখনই তারা ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে থাকেন। প্রতারক সীমান্ত খোকনের কাছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া গোয়েন্দা সংস্থার নামে তথ্য প্রমান না নিয়ে তাদের দপ্তরের বিভিন্ন ভাবে লেখালেখি করে ঐসব দপ্তরের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
চলবে——-