মূলত এ আইন বা বিলটি ইউরোপের এই দেশটিতে কোরআন আইন হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার এই আইনের পক্ষে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে ভোট পড়ে ৯৪টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭৭টি। আর এতেই আইনটি পাস হয় এবং এই আইনের অধীনে অপরাধীদের এখন জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
বিবিসি বলছে, ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর একের পর এক ঘটনার পর ডেনমার্কে এ আইন পাস করা হলো। মূলত একের পর এক কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মুসলিম দেশগুলোতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
ডেনমার্ক এবং প্রতিবেশী সুইডেনে সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কিত এ ধরনের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। আর এটি ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে নিরাপত্তা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়।
এর আগে গত আগস্টে ডেনমার্কের সরকার জানায়, আগুনে পুড়িয়ে বা অন্য কোনও উপায়ে কেউ যেন পবিত্র কোরআন অবমাননা না করতে পারেন— সেজন্য একটি আইন প্রস্তাব করতে যাচ্ছে তারা। এরমাধ্যমে কথিত বাকস্বাধীনতার নামে প্রকাশ্যে কেউ কোরআন পোড়াতে পারবে না।
মূলত কোরআন অবমাননার জেরে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে ডেনমার্কের সম্পর্কের উত্তেজনা দেখা দেয়। সেই উত্তেজনা প্রশমনে এমন উদ্যোগ নেয় দেশটি। আর তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দেশটিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করে আইন পাস হলো।
অবশ্য ডেনমার্ক ছাড়াও ইউরোপের আরেক দেশ সুইডেনেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অসংখ্যবার কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ পাতায় আগুন লাগিয়ে অথবা পাতা ছিঁড়ে পবিত্র এ ধর্মগ্রন্থ অবমাননা করেছেন। এসব ঘটনার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মুসলিম দেশগুলো।
বিবিসি বলছে, পবিত্র কোরআন পোড়ানো বা অবমাননা বন্ধে ডেনমার্কের মতো সুইডেনের সরকারও একই ধরনের আইনের কথা বিবেচনা করছে। এছাড়া ডেনমার্ক এবং সুইডেন উভয়েই ব্লাসফেমি আইন বাতিল করেছে।