মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে হত্যা মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভূক্ত দুই পলাতক আসামী মোঃ ওয়াসিম মিয়া ও তার শ্যালক বিল্লাল মিয়া প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুরের নির্জন ফসলী জমিতে নিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে হত্যাকারীরা । পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।ময়না তদন্তে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে বাদী পক্ষ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ১৪ জনকে আসামী করে আদালতে একটি চার্জশীট দাখিল করে । আদালত ১৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার জারী করেন।
হত্যা মামলার ১৪ জন আসামীর মাঝে ১২ জন আসামী বর্তমানে আদালত থেকে জামিনে আছে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে মামলার হত্যা মামলার অন্যতম দুই আসামী হরিপুর গ্রামের মৃত সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ওরুপে এম মন্নানের ছেলে মোঃ ওয়াসীম মিয়া ও তার শ্যালক মৃত রশীদ মিয়া ছেলে মোঃ বিল্লাল মিয়া রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।অভিযোগ রয়েছে তারা জামিন না নিয়েই প্রকাশ্যে ঘুরেফেরা করে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়,প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান মন্নান মিয়ার পুত্র মোঃ ওয়াসীম মিয়া ও তার শ্যালক মোঃ বিল্লাল মিয়া সাবেক সংসদ সদস্য বি,এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নাম বিক্রি করে এলাকায় প্রভাব দেখিয়ে প্রকাশ্যেই চলা ফেরা করছে। থানা পুলিশ তাদের কিছুই করতে পারবেনা বলে বেড়াচ্ছে তারা
জাানা গেছে হত্যা মামলার আসামী থাকার পরও সাবেক সংসদ সদস্য বি,এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি গত ইউপি নির্বাচনে মোঃ ওয়াসিম মিয়াকে আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচনী মাঠে পাঠালে তিন জামানত হারান। অভিযোগ আছে নৌকার মননোয়ন পাওয়ার পূর্বে ওয়াসিম এলাকাবাসীর লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে এবং তার বিরুদ্ধে অসংখ্য দাঙ্গা হাঙ্গামার অভিযোগও রয়েছে।
ওয়াসিম ও বিল্লালকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নাসিরনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন,মামলাটি সরাইল থানার,ওয়ারেন্ট আমাদের হাতে এখনো পৌছায়নি,কিন্তু কিভাবে এতদিন ওয়ারেন্ট আটকে রেখেছে জানিনা,আমাদের হাতে ওয়ারেন্ট আসার সাথে সাথেই তামিল করবো।