ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  জাতীয়ব্রাহ্মণবাড়িয়াশিক্ষাঙ্গনসারাদেশ

বিজয়নগরে প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠান ।

শফিকুর রহমান শাহীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউপির ফতেপুর ছেনু মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুনামধন্য প্রধান শিক্ষক মো. আরজু মিয়ার চাকরির শেষে অবসরে যাওয়ার বিদায়ী অনুষ্ঠান অশ্রুসিক্ত নয়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ২২ মে দুপুর প্রায় ২ টায় বুধন্তি ইউনিয়ন ফতেপুর ছেনুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে মো. সামিরুল হক অত্র বিদ্যালয় (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের সঞ্চালনায় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী সাইয়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়,
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী মোঃ শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুর রহমান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মানিক ভূঁইয়া,
আরো উপস্থিত ছিলেন ইয়ামিন নেওয়াজ খান অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট , উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান ও সরকারি শিক্ষক ও শিক্ষিকা বৃন্দ।
কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সোলেমান খান, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফার,
দো
উক্ত স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সে কেঁদে কেঁদে মানপত্র পাঠ করে উপস্থিত সবার মনে দাগ কাঁটে ।

অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালে মোঃ আরজু মিয়ার পিতা মো.ছেনু মিয়া একক মালিকানায় জায়গায় স্কুল ঘর প্রতিষ্ঠা করেন, উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার পালন করেন আরজু মিয়া, প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করেছেন , স্কুল প্রতিষ্ঠা ও ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকারের মানুষ করাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল। তারা আরো বলেন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অব্যাহতি নিতে হবে এটাই নিয়ম কিন্তু স্কুলের উন্নয়ন ও লেখাপড়ার মানের দিকে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান,

উক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আরজু মিয়া বক্তব্যে আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে তেমন কিছু বলতে পারেনি শুধু উনার জন্য দোয়া এবং তিনি হজ করতে যাবেন এ মর্মে দোয়া চেয়েছেন ।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ফতেপুর জামে মসজিদের ইমাম আশরাফুল ইসলাম মিলাদ ও সর্বশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
বিদায় ক্ষণে সকলেই ভেজা চোখে চোখ তাকে বিদায় জানানোর কালে বিভিন্ন উপহার এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন,