দৈনিক সংকেত ডেক্স
মেয়েরা কথায় কথায় রেগে যায়’-এই বাক্যটা নিশ্চয় জীবনে একবার হলেও শুনেছেন! অনেক ছেলেই মেয়েদের মেজাজ নিয়ে এমনটা বলে থাকেন! হয়তো প্রেমিক, বন্ধু বা আত্মীয় অনেকেই আপনার ‘মুড সুইং’-এর ফলে বিপদের শিকার হয়েছে। কিন্তু জানেন কি, না চাইলেও মেয়েরা কেন মাঝেমধ্যেই রেগে যায়? মেয়েরা নিজেরাও জানেন না, তাদের এই অকারণে রেগে যাওয়ার অন্তরালে থাকতে পারে নানান শারীরিক জটিলতা কিংবা অভ্যাস। কিন্তু কেন?
প্রথমেই ধরা যাক ঋতুচক্র।
এই সময় মেয়েদের মেজাজ একটু খিটখিটে থাকে।
তাই নিয়ে ঠাট্টাও চলে বন্ধুদের মধ্যে। কিন্তু কেন এই সময় এরকম হয়?
আসলে ঋতুচক্র শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং হঠাৎ করেই তা নেমেও যায়। যার ফলে খামখেয়ালী হয়ে ওঠেন মহিলারা।
আপনি কি কফির প্রেমে পাগল?
নিয়মিত দিনে বেশ কয়েক কাপ কফি না হলে যদি আপনার সমস্যা হয়, তাহলে বুঝবেন কফি এখন আপনার আসক্তি।
কিন্তু এই আসক্তি আপনার মুড সুইং-এর কারণ হতে পারে- ভেবে দেখেছেন কখনও? অতিরিক্ত ক্যাফাইন সেবনের ফলে আপনার স্বভাব খিটখিটে হতেই পারে! এমনকী আপনি প্রায়ই মাথাব্যথারও শিকার হতে পারেন।
বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলেও আপনি অকারণে রেগে যেতে পারেন। কাজ করার জন্য মানুষের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্লুকোজ প্রয়োজনীয়। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে সেই মাত্রা কমে যায়।
ফলে অকারণেই খিটখিটে হয়ে উঠতে পারেন আপনি।
তাই অল্প অল্প করে সবসময় কিছু না কিছু খেতে থাকুন, এতে মন আর মেজাজ দুটোই ভাল থাকবে।
কিন্তু তাই বলে জাঙ্ক ফুড খাবেন না। কারণ জাঙ্ক ফুড মস্তিষ্কের কোষগুলিকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, যার থেকে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকী বিশেষজ্ঞমহল বলছে, চর্বিযুক্ত খাবার বিষণ্ণতা বোধ জাগিয়ে তোলে।
এছাড়া থাইরয়েড চেক আপ করানোও বাধ্যতামূলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, তার উপর নির্ভর করে নানান রাসায়নিক রূপান্তর। হাইপোথাইরয়েডিজম নামক একটি ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে এই হরমোন কমে যায়। এর কারণেও অকারণে রেগে যাওয়া বা মুড সুইং হতে পারে আপনার।
আপনি যদি নিজে মুড সুইং-এর শিকার হন বা আপনার প্রিয়জন যদি অকারণে রেগে যান তবে এবার একটু ভাবুন! হয় নিজে ডাক্তারের কাছে যান! নয় তো প্রিয় মানুষটিকে সাহায্য করুন মেজাজ ঠিক রাখতে! দরকারে তার জন্য ডাক্তারেরও পরামর্শ নিন।