মো: ফখরুদ্দিন সরাইল ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া )
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে বিএনপির কর্মী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির কর্মী সমাবেশে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে ৭ নং সরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার ও আরিফুল ইসলাম মুকুলের সসঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে জনগণের উপর জেল জুলুম অত্যাচারের জবাব জনগন আজ এই কর্মী সভায় উপস্থিত হয়ে দিয়েছে বলে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সকল জুলুমেরই শেষ আছে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, যতদিন তারা বেঁচে থাকবে ততদিন ক্ষমতায় থাকবে। দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে।’
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘মানুষের সমর্থন-ভালোবাসা যদি থাকে তাহলেই নেতা হওয়া যায়, রাজনীতি করা যায়। পদ অনেকভাবেই আসে। কিন্তু নেতা তৈরী হয় মানুষের ভালোবাসায়। মানুষ যাকে নেতা মানে সেই নেতা হয়।’
উপস্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরাইলের নয়টি ইউনিয়নের মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, আমি ওয়াদা করছি, যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের এই ভালোবাসার ঋণ আমি পরিশোধ করব। ইনশাল্লাহ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আশুগঞ্জে গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করেছি। সরাইলের মা-বোনেরা যেন শান্তিতে রান্না করতে পারে সেজন্য যেসব এলাকায় গ্যাস সংযোগ নেই সেখানে গ্যাস সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করছি।’
বিএনপির সাবেক এই এমপি বলেন, ‘সাড়ে তিন বছরের জন্য আমি সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হয়েছিলাম। সংসদে তিন শ’ এমপির সামনে আমি একাই লড়েছি। একজন এমপির বরাদ্দ যা থাকে তার বিশ ভাগের একভাগ সংরক্ষিত মহিলা এমপির থাকে। আমার বরাদ্দের সবটুকু সরাইল ও আশুগঞ্জের মানুষের জন্য ব্যয় করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আমি আবার এমপি হতে পারলে সরাইল ও আশুগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করব। ইনশাল্লাহ।’
এছাড়া উক্ত কর্মী সভায়
প্রধান বক্তা ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
সরাইলের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বাধ্যযন্ত্রের তালে নেচে বিশাল এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হাজারো মানুষ।