দৈনিক সংকেত ডেস্ক
ভালোবাসার দিবসে চুক্তি হোক এমন , কেউ কাউকে ভরসা করার পর , মন ভাঙ্গার মতন অপরাধ করা যাবে না, যদি ছেড়ে যায় অকারনে , তবে পার্টনারের কপালে লিখা হবে দেয়ালে চিকা মারার মতন- চিটার , কারন এক জনকে চিট করার পর সে যেন অন্য কারো কাছ থেকে সলিড প্রেমটা যেন না পায় ।
একজনের মন ভাঙ্গার পর যাতে অন্য কারো ভরসার যোগ্য সে না থাকে , মানুষের পৃথিবীতে সে , যে অমানুষ তা নিজে উপলব্ধি করতে পারে, অন্য আরো কারো সাথে ইনটেমেইট হতে গিয়ে তার পার্টনার যেন দেখে , এই মানুষটা কাউকে টিস্যুর মতন ব্যবহার করেছে , কোন রকম রেসেপেক্ট ছাড়াই তাকে অসম্ভব ভালোবাসে এমন কাউকে সে ছেড়ে এসেছে তার নিজ স্বার্থে,
কয়েক গুলো বছর তাকে মিথ্যায় ডুবিয়েছে।
আফসোস , আমরা মানুষরা পার পেয়ে যাই ,একজন মানুষকে অসীম শূন্যতা দিয়ে , আরেকজন মানুষ দিব্যি মানুষ নামের টাইটেল নিয়ে বেঁচে থাকে, কেউ জানে না গোপনে সে কতটা নির্মম ভাবে আরেক জন মানুষকে ভিতর থেকে মেরে ফেলেছে, সে বাঁচে বুক ফুলিয়ে কোন রিগ্রেট না নিয়ে , কেউ জানে না সে আরেক জন মানুষের ভরসা নিলাম করে , দিব্যি হাসে , অন্য কাউকে আজীবনের মতন এক সমুদ্র কান্না উপহার দিয়ে সে মানুষের সমাজেই বাঁচে,কেউ জানে না সে কারো কান্নার কারন, কারো জীবনের বাঁচার সৌন্দর্য সে কেড়ে নিয়ে নিয়েছে ।
অথচ মন ভাঙ্গার অপরাধের শাস্তি এ দুনিয়ার গোপন পাপ বলে , মানুষ বুঝতে পারে না নিজের , অপরাধের পরিমান কতটু , এমন অনেক মানুষ আছে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে বিশ্বাস ঘাতকতা পাওয়ার পর আত্মহত্যা করে, কেউ কেউ পাগল পর্যন্ত হয়ে যায়,কেউ জানে না , কতটা ট্রমাটাইজড হয়ে দিন পার করে, আর কেউ কেউ গোপন নিজেকে মেরে ফেলে , নিজের শখ ইচ্ছা বলিদান দিয়ে শুধু শ্বাস নেওয়ার জন্য বাঁচে ।
কেউ কেউ এই পরিমান কষ্ট নিয়ে বাঁচে যে নিজের চেহারাটা পর্যন্ত আয়নায় দেখতে ভয় পায়, কাউকে সে বলতে পারে না , তার সাথে কি ঘটেছে , কাউকে সে বলতে পারে না তার ভিতরে কতটা যন্ত্রনা পোষে, অথচ সমাজ সংসার সব আগলে রেখে , গোপনে কাউকে , ভেঙ্গে আরেক জন মানুষ নিজেকে মানুষ ভেবে সুন্দর ভাবেই বাঁচে , যতবার এই ভালোবাসা দিবস আসবে , ততবারই মানুষের রিয়েলাইজ করা উচিত ভালোবাসা সস্তা কিংবা রাস্তায় পরে থাকার জিনিস না , যাকে তাকে দিলাম ।
পরে নিজ স্বার্থে মনে চাইলো নিজেকে ফেরত নিয়ে নিলাম , ভালোবাসা মানেই দায়িত্ব বোধ, নিজের অপরাধ-বোধের বোঝা অন্য কাউকে চাপিয়ে , চলে যাওয়া না।