ঢাকা, বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  সম্পাদকীয়

গণতন্ত্র দেশগুলোতে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম

  দৈনিক সংকেত ডেস্ক
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম- যার প্রাণশক্তি এর কর্মীগণ। রাষ্ট্রের প্রথম স্তম্ভ নির্বাহী বিভাগ- যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। একে নজরদারীতে রাখে দ্বিতীয় স্তম্ভ পার্লামেন্ট; আর পার্লামেন্টকে নজরে রাখে তৃতীয় স্তম্ভ বিচার বিভাগ।
এই তিনটি রাষ্ট্রীয় স্তম্ভ ঠিকমত কাজ করছে কি-না সেটাই নজরে রাখে গণমাধ্যম। সে কারণে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে গণমাধ্যমকে বিবেচনা করা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ তথা গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে।
গণমাধ্যম কর্মীরা রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠানের শত্রু নন। দেশ-জনগণ বা বৃহৎ অর্থে অবদমিত মানুষজনের পক্ষে  কলম ধরেন সাংবাদিক। এক্ষেত্রে অনুরাগ-বিরাগ নয়, নিরাসক্ততাই সাংবাদিকের পবিত্র অস্ত্র। সেটা বেঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে সংক্ষুব্ধ পক্ষের জন্যও রয়েছে প্রতিকারের আইনসংগত উপায়- প্রেস কাউন্সিল।
কিন্তু আইনসঙ্গত পথ এড়িয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রেটিং প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থানের পর্যায়ক্রমিক অধগমন অব্যাহতই আছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গণমাধ্যম দমনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আইনগুলো এ মুহুর্তে বিশ্বের ভয়ঙ্করতম আইন।
গণস্বার্থে গণস্বার্থবিরোধী গণমাধ্যম সংক্রান্ত আইনগুলো সংশোধন বা বাতিল করা এখন সময়ের দাবী। এই দেশ এবং জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের চাইতে চোর-বাটপার দুর্বৃত্তের স্বার্থ কোনভাবেই বড় হতে পারে না।