মোঃ ফখরুদ্দীনঃ ‘টাকা ছাড়া যে পুলিশে চাকরি হয়, সেটা মানুষকে বিশ্বাস করাতে চাই’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেছেন, ‘লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমি আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি। তাদেরকে বলেছি, যদি কেউ টাকা চায়, তাহলে যেন আমাকে ফোন করে জানায়, আমি টাকাটা পাবো কি না। আমি আমার জায়গা থেকে স্বচ্ছতার বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমি চাচ্ছি শতভাগ স্বচ্ছ একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া হোক।’
তিনি রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘আমার বিবেক দংশন হচ্ছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ দেব, আর দালালরা কৌশলে টাকা নিয়ে যাবে, এটা কোনোভাবেই হতে পারে না। অস্বচ্ছতার কোনো জায়গা থাকবে না। এদেরকে রোধ করতে হবে।’
এ সময় জানানো হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দালালি করার ঘটনায় জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মো. মিলন মিয়া (২৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দালালির বিষয়ে আরো যে খবর আসছে, সেগুলো নজরদারি করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন বিষয় স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শারীরিক বাছাই প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়। প্রত্যেকের পরীক্ষার ভিডিও সংরক্ষণ করা আছে। অনেকে রিভিউ হিসেবে দেখতে এসে লজ্জিত হয়েছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন, যে প্রার্থী বাদ পড়েছেন, তারা কী কারণে উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
তিনি বলেন, লিখিত পরীক্ষার সব কিছু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের খাতা সিলগালা করে পাঠানো হবে। এছাড়া এইচএসসি ও এসএসসি স্ট্যান্ডার্ডে পরীক্ষা নেওয়ার পর এমনভাবে খাতা পাঠানো হবে যে কেউ বুঝতে পারবে না কার কোন খাতা। আমরা শুধুমাত্র ফলাফল সিট পাবো। ৬০ মার্কের মধ্যে ২২.৫ প্রাপ্তরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবেন।