ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার ২রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  সারাদেশ

যে কারণে স্থগিত হলো নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কার্যক্রম

অনলাইন ডেস্কঃ বেসরকারি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বেসরকারি কলেজের (উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তর) গঠিত এডহক কমিটি বা প্রস্তাবিত এডহক কমিটি অনুমোদনের পর এই কমিটি কর্তৃক নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি গঠনের কার্যক্রম স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে হুট করে নিয়মিত কমিটি গঠনের কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কোন ঘোষণা ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো তা জানতে চেয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক এবং এডহক কমিটির সভাপতি যোগাযোগা করেছেন শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা সাথে।
কেন এডহক কমিটি কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি গঠনের কার্যক্রম করতে পারবে না তার কারণ অনুসন্ধানে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেও কেউ এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষাবার্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা জানান, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির প্রবিধানমালা, ২০২৪ জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রজ্ঞাপনে ম্যানেজিং কমিটির বা গভর্নিং বডির সভাপতির যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় এইচএসসি বা সমমান।
কিন্তু পাঁচ আগস্ট সরকার পতনের পর গত ১৮ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে মন্ত্রণালয় থেকে ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির প্রবিধানমালা, ২০২৪ এর প্রবিধি ৬৪ এর আওতায় বেসরকারি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বেসরকারি কলেজে (উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তর) এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে এডহক কমিটির সভাপতির যোগ্যতা কলেজের ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর এবং স্কুলের ক্ষেত্রে স্নাতক নির্ধারণ করা হয়। তবে নিয়মিত কমিটির সভাপতির যোগ্যতা নির্ধারণ করে কোন প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় প্রবিধানমালা, ২০২৪ এর মোতাবেক রয়ে যায়। বিষয়টি সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। যেহেতু অনেক প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটি নিয়মিত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া করছে তাই আপাতত নিয়মিত কমিটি স্থগিত করা হলো।
তারা আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারি প্রধান ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির হাতে। কিন্তু সরকার ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারি প্রধান নিয়োগ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর হাতে দেবে এবং কর্মচারী নিয়োগ ডিসি অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার আঞ্চলিক কার্যালয়ে দেবে। ফলে প্রবিধানমালা সংশোধন না করলে এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বিক্রেন্দ্রিকরণ করার সুযোগ নেই। তাই আপাতত নিয়মিত কমিটি স্থগিত করা হলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, আগামী দশ কর্মদিবসের মধ্যে প্রবিধানমালার খসড়া প্রস্তুত হবে। আশা

করছি এক মাসের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির নিয়মিত নির্বাচন দেওয়ার আদেশ দেওয়া হতে পারে।

নিয়মিত কমিটিতে কি ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে জিজ্ঞেস করলে এই কর্মকর্তা বলেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কাজ চলছে। তবে নিয়মিত কমিটিতে ডিসির প্রতিনিধি যুক্ত করার আলোচনা চলছে।