ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসককে হয়রানির অভিযোগে নারীর বিরুদ্ধে জিডি

সাইদুল মোস্তাক জুয়েলঃ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আকতার হোসাইন-কে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে এক নারীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ডা. আকতার হোসাইন, তৌহিদা শারমীন শর্মী নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় জিডি করেন।
ডা. আকতার হোসাইন শহরের হালদারপাড়ার মৃত ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে শিশু চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি হলিল্যাব হাসপাতালেও শিশু ও কিশোর রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল তৌহিদা শারমীন শমী, ডা. আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসা ও রোগীর এটেনডেন্টের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ এনে জেলা সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে অভিযোগকারী তৌহিদা শারমীনকে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হলেও তিনি উপস্থিত হননি।
এরপরও তিনি গত ১৫ অক্টোবর পুনরায় একই অভিযোগ করেন। এবার তা পাঠানো হয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, বিএনপি মহাসচিব এবং ড্যাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে।
এ বিষয়ে ডা. আকতার হোসাইন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে তৌহিদা শারমীনের অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে অভিযোগটি মিথ্যা। তারপরও তিনি ফেসবুকে আমার সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যা আমাকে মানসিকভাবে হয়রানি করছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, কেউ না কেউ ওই নারীকে উসকানি দিচ্ছে। আমি আইনের মাধ্যমে এই অপচেষ্টা প্রতিহত করবো।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. নোমান মিয়া বলেন, “চিকিৎসক আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগকারী উপস্থিত না হওয়ায় তদন্তের কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হয়নি।”
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, “ডা. আকতার হোসাইন এক নারীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং তদন্তের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”