মোঃ ফখরুদ্দিনঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের উপদ্রুপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দালালরা সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের ফুঁসলিয়ে কিছু কমিশন বিনিময়ে তাদের পছন্দের প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান। এতে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল রোগী দের নানা সমস্যা পরতে হয়। বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন। অভিযানকালে তিনি শিখা রানী (৫৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করেন। দায় স্বীকার করায় ওই নারীকে ১৮৬০ ধারায় ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার নিজাম উদ্দিন ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালে একটি বড় দালাল চক্র রয়েছে যারা বিভিন্ন ক্লিনিকের সাথে যোগসাজস করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার পরিবেশকে বাধাঁগ্রস্থ করে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সাথে এদের পেছনে থাকা রাঘব বোয়ালদেরও শাস্থির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, এখানে দালালদের উপদ্রুপের অনেক অভিযোগ আছে। আজকে এসে অনেক দালাল দেখলাম। এদের যন্ত্রণায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠিকমত কাজ করতে পারে না। সেবাবঞ্চিত হয় রোগীরা। আটকের পর অপরাধ স্বীকার করায় একজনকে ৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছি।