সুলতানা রাজিয়াঃ
সোমবার – সমাজসেবামূলক সংগঠন প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাদের ১৫০তম সাপ্তাহিক খাবার বিতরণ আয়োজন সম্পন্ন করেছে। সংগঠনটির জন্য এটি একটি বিশেষ দিন ছিল, কারণ এত বড় একটি সংখ্যায় খাবার বিতরণ সম্পন্ন করতে সক্ষম হওয়ায় সংগঠনের সদস্যরা এক অনুপ্রেরণামূলক মাইলফলক অর্জন করেছেন।
আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় সোমবার,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলীত ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন, মো:হাসান মিয়ার সঞ্চালনায় ও সংগঠনের পরিচালক সাইফুর রহমান নাহিদের সার্বিক তত্ববাদয়নে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, এবং প্রখ্যাত সমাজসেবী পথশিশুদের জননী কূহিনুর আক্তার প্রিয়া, রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সকল এডমিন, সদস্য এবং বিভিন্ন সামাজিক মহলের অতিথিবৃন্দ।
সংগঠনের পরিচালক সাইফুর রহমান নাহিদ জানান, “প্রিয় পরিবার শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়, এটি একটি মানবিক পরিবার। আমরা ভালোবাসা, ঐক্য এবং সহমর্মিতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হলো সমাজের সকল শ্রেণি ও সমাজের অবহেলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।”
১৫০তম খাবার বিতরণ উপলক্ষে সাইফুর রহমান নাহিদ আরও যোগ করেন, “আজকের এই আয়োজন আমাদের সকলের জন্য গর্বের এবং আমাদের কার্যক্রমের সফলতা। প্রিয় পরিবার, আমাদের একযোগ প্রচেষ্টায়, সমাজে ভালোবাসা ও সহানুভূতির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট রয়েছে। আমরা জানি, একে একে সবার জীবন বদলে দেবার মাধ্যমে আমাদের সমাজে শান্তি এবং সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।”
এছাড়া, কূহিনুর আক্তার প্রিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত পথশিশুদের প্রতি স্নেহ ও যত্নের কথা উল্লেখ করেন এবং এই ধরনের মানবিক কর্মকাণ্ডকে প্রশংসিত করেন। তিনি বলেন, “পথশিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের আয়োজনগুলো তাদের জীবনযাত্রা বদলে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাস ও সমাজে স্থান তৈরিতে সহায়তা করে।”
এদিকে, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল অনুষ্ঠানটির শেষে বলেন, “প্রিয় পরিবার শুধু খাবার বিতরণ নয়, এটি একটি মানবিক আন্দোলন। এই সংগঠনটির মাধ্যমে আমাদের সমাজে এক নতুন রূপান্তর ঘটছে। আমরা সবাই একত্রিত হয়ে সমাজে ভালোবাসা এবং সহানুভূতির শক্তি বিস্তার করছি।”
প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংগঠনটি গত কয়েক বছরে সামাজিক অবদান রাখতে গিয়ে অনেক পথশিশু ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছে। এই সংগঠনটির সাপ্তাহিক খাবার বিতরণ কর্মসূচি এলাকার দরিদ্র জনগণের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় এবং এটি একটি সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সংগঠনটির সদস্যরা জানান, তারা ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। তাদের বিশ্বাস, এই ধরনের মানবিক কাজ সমাজের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করবে।