ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ (২৮, অক্টোবর) মঙ্গলবার প্রতিদিনের মত সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা আগত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন আবাসিক চিকিৎসক ডা. কামরুল হাসা। টার দিকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত রোগী দেখছিলেন আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ কামরুল হাসান।
এ সময় আনন্দ মেডিকেল নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল এর মালিকের ছেলে শিহাব কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে হাসপাতালে এসে আবাসিক চিকিৎসক ডা. কামরুল হাসানকে নামধরে অভদ্র ভাবে গালাগাল ডাকে ও হট্টগোল সৃষ্টি করে এবং চিকিৎসক কে মারার জন্য শিহাব তার দল বল নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে এদিক সেদিক খুঁজতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে আত্মরক্ষার্থে ডাঃ কামরুল হাসান ২য় তলায় উঠে একটি রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে উপস্থিত জনতা শিহাবকে ফিরিয়ে দেয়। । শিহাব সরাইল উপজেলা মাইক্রোবাস টার্মিনাল সংলগ্ন আনন্দ মেডিকেল নামের হাসপাতালে পরিচালক।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ডাঃ কামরুল হাসান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, শিহাব কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে আমাকে হামলা করার উদ্যেশ্যে হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে আমাকে খুজঁতে থাকে ও আমাকে মারধর করার ঘোষনা দেয়। এর কারন হিসেবে তিনি বলেন গত কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মোশাররফ হোসাইন একজন দালকে মোবাইল কোট পরিচালনা মাধ্যমে সাজা দেন । সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আনন্দ মেডিকেলের দালাল হওয়ায় আমার উপর আক্রোশ বসত আজকের ঘটনা ঘটায় তারা।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, বহিরাগতদের দ্বারা এ ঘটনা আমি আরএমও’র কাছে শুনেছি। প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে অবগত করব। এছাড়াও আপনারা জানেন এ হাসপাতালে দালালদের আনাগুনা রয়েছে। দালালের ধরার জন্য ইউএনও মহোদয়ের নেতৃত্বে মোবাইল টিম কাজ করছে। এটা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে শিহাবের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলে শিহাব ফোন ধরছেন না।