ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার ২০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  রাজনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংসদ আসন ৪- কে নিয়ে কবির আহমেদ ভূঁইয়া৷ 

সাইদুল মোস্তাক জুয়েলঃ
অনেকেই কেন্দ্রে আমাদের বাজে ভাবে উপস্থাপন করছে। আমার বিএনপির ভাইদের উপর ১৭ বছর অনেক নির্যাতন হয়েছে। আমার নেতাকর্মীরা কোন অবৈধ পথে জড়িত নয়। কসবা আখাউড়া সীমান্তবর্তী এলাকা। এখানে বিএনপির কেউ চোরাকারবারির সাথে জড়িত নই। তারেক রহমানের ৩১ দফা মানেই বাংলাদেশ। ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের চেহারাই পাল্টে যাবে। এই ৩১ দফা নিয়েই আমরা বাড়ি বাড়ি যাবো।
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় কসবা উপজেলা চত্তরে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা আখাউড়া) আসন থেকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব কবির আহমেদ ভূঁইয়া।
কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট ফখরউদ্দিন আহমেদ খান এর সভাপতিত্বে. বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র সহসভাপতি ইকলিল আজম, সহসভাপতি মোখলেছুর রহমান, মো: ছানাউল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ওসমান হারুনুর রশিদ শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সুলতান আহম্মেদ, এনামুল সরকার, পৌর বিএনপি সভাপতি শরীফুল ইসলাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান, সিনিয়র সহসভাপতি বশির আহম্মেদ চৌধুরী, সহসভাপতি বাদল খন্দকার, যুগ্ম সম্পাদক মামুন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এড: রাকিবুল ইসলাম সজিব, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এড: ইসমতারা সুলতানা, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদিন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডা: খোরশেদ আলম, আখাউড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক আক্তার খান প্রমুখ।
সঞ্চালনায় ছিলেন কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপন।
সমাবেশে কবির আহমেদ ভূঁইয়া আরো বলেন,আমরা ক্ষমতায় গেলে নির্যাতন ও অন্যায় ভাবে মামলা দেওয়া হবেনা। আমার বিএনপির ভাইয়েরা হবে পাহারাদার। আমাদের কসবা আখাউড়ায় মাটির নিচে গ্যাস আছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে কিভাবে মাটির নিচের গ্যাস উত্তোলন করে কসবা আখাউড়ায় দেওয়া যায় আমরা চেষ্টা করবো।
কসবা আখাউড়ায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো স্মার্ট করে ফেলবো। সময়পোযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবো। যারা প্রবাসে যাবে তাদের জন্য দক্ষ কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবো। কসবায় কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবো।
হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন ও আসন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করবো। মোবাইলে সেবার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করবো। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল সমাজে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমি এসেছি আপনাদের সেবা করার জন্য। কসবা আখাউড়াকে একটি আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে। কসবা আখাউড়া নিয়ে আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমি বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করবো।
কৃষি নিয়ে তিনি বলেন, ভালো বীজ ও উন্নত মানের সার ব্যবহার করে আমরা ভালো ফলনের চেষ্টা করবো। আখাউড়াতে একটি স্থলবন্দর রয়েছে। এই বন্দর দিয়ে ভারতে প্রচুর মাছ ভারতে যায়। আমরা মৎস্য চাষেও গুরুত্ব দিবো। এ অঞ্চলকে আমরা একটি অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থার যে দন্য দশা এই অঞ্চলে অধিক ট্রেন চালু করে দিলে আরো বেশী রাজস্ব বাড়বে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়নে কাজ করবো।আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চেষ্টা করবো মসজিদ মন্দিরের জন্য উন্নয়ন করার জন্য।
টি আলী কলেজকে সরকারি করার জন্য চেষ্টা করবো। তরুণ ও নারী সমাজকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। তরুনদের মাদক থেকে দূরে সরাতে কর্মমূখী করতে হবে। খেলাধুলার জন্য স্টেডিয়াম তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষের নিরাপত্তার প্রতীক ধানের শীষ। আমি আপনাদের সাথে নিয়েই ৩১ দফার ভিত্তিতে কসবা আখাউড়াকে সাজাবো। কসবা আখাউড়াকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে দাঁড় করাবো। তিনি বলেন, ১৭ বছর আপনারা কষ্ট করেছেন। আগামী ফেব্রুযারী পর্যন্ত আপনাদের কষ্ট করতে হবে।