ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার ২৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারিদের উপর হামলা দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের

 মোঃ ফখরুদ্দিনঃ 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী আনন্দ বাজারের পুরাতন বাঁশ বাজারের বন্দোবস্ত দেয়া খাস জায়গার সীমানা নির্ধারণের সময় সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে সদর উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি কার্যালয়ের ১৫জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে হামলার পর বিকেলে সদর উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের নেতৃত্বে শহরের ঐহিত্যবাহী আনন্দ বাজারের মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
আহতরা হলেন ইউএনও’র কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মফিজুল কবীরসহ ১৫জন। জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী আনন্দ বাজার সংলগ্ন পুরোনো বাঁশ বাজারে ১নম্বর খাস খতিয়ানের হাট বাজার শ্রেনীর পেরিফেরিভূক্ত প্রায় ২১ শতাংশ খাস জায়গা আছে। সম্প্রতি ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশের খাস জায়গাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৩ জনের নামে বন্দোবস্ত দেয়া হয়।
আহত কর্মচারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলামসহ ইউএনও ও সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের ১৫-২০জন জেলা শহরের আনন্দ বাজারসংলগ্ন পুরোনো বাঁশ বাজারে যান। তারা বন্দোবস্ত দেয়া ১নম্বর খাস খতিয়ানের হাট বাজার শ্রেনীর পেরিফেরিভুক্ত জায়গার সীমানা নির্ধারণ শুরু করেন। এ সময় শহরের কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির আবুল হাসনাত ওরফে ভজনের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন সরকারি কর্মচারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করেন। এতে সরকারি ১৫জন কর্মচারী আহত হন। অন্যরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
বেলা আড়াইটার দিকে সদর উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও সদর থানা পুলিশ আনন্দ বাজারে অভিযান চালান। বন্দোবস্ত দেয়া জায়গার উত্তর দিকে থাকা অবৈধ দোকান, স্থাপনা, আনন্দ বাজারের মাছ বাজারে গড়ে তোলা দোকান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সেসময় তিতাস নদীর পাড় সংলগ্ন আনন্দ বাজারের মানুষের চলাচলের রাস্তায় রাখা মাছ ব্যবসায়ীদের অবৈধ সরঞ্জাম ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্বে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন তানজিনুর রহমান ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মানস দাস, সদর থানা পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, হামলার পেছনে জেলা বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় পর্যায়ের এক নেতার ইন্দন রয়েছে বলে জানা গেছে। এক নম্বর খাস খতিয়ানের জায়গা বিধি মোতাবেক বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। সীমানা নির্ধারণের সময় সরকারি কর্মচারীদের উপর হামলা হয়। যারা অতর্কিত হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।