মোঃজিয়াউল হক , শেরপুর : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর উত্তর শালচুড়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ড্রেজার মেশিন ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ধ্বংস করা সহ দুই ব্যক্তিকে বালু পরিবহনের দায়ে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২৯এপ্রিল) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট মো. আশরাফুল আলম রাসেল এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক জেলার নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পরেও বালু খেকুরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপনে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করে আসছে। গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট মো. আশরাফুল আলম রাসেল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মহারশি নদীর উত্তর শালচূড়া এলাকায় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৯টি ড্রেজার মেশিন, ৩টি মাচা ও অসংখ্য পাইপ ধ্বংস করা হয়। সেইসাথে অবৈধভাবে ট্রলীগাড়ী দ্বারা বালু পরিবহনের দায়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন এর ৪ধারার ১৫(১) ধারা মোতাবেক ট্রলী ড্রাইভার মনির হোসেন(২৫)কে ২০দিন এবং লাল চান (২৪)কে ১০দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। দন্ডিত মনির হোসেন উপজেলার ফুলহারি এলাকার আমছার আলীর ছেলে এবং লালচান ধানশাইল এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট মো. আশরাফুল আলম রাসেল সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জনস্বার্থে ও পরিবেশ রক্ষায় এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।