সাইদুল মোস্তাক জুয়েলঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩০ কিঃমিঃ উত্তরে ভাটি অঞ্চল নামে খ্যাত নাসিরনগর উপজেলা।এর পশ্চিমে চাতলপাড় ইউনিয়ন।এ উপজেলায় অসংখ্য নদ-নদী খাল-বিল জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মেঘনার ও ধলেশ্বরীর পূর্ব পাশে অবস্থিত চাতলপাড় ও ভলাকুট ইউনিয়ন। উত্তরে গোয়ালনগর ইউনিয়ন ও পশ্চিমে রয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার।
প্রতি বছরের মত এবারও শুরু হয়েছে মেঘনার ভাঙন। এতে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের বিলের পাড়, চকবাজার ও চাতলপাড় বড় বাজারের মানুষের কষ্টের অন্তঃনেই। ইতোমধ্যে মেঘনার ভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে চাতলপাড় অঞ্চলের শতাধিক পরিবার। অচিরেই এই ভাঙন রোধ করা না গেলে গৃহশূণ্য হয়ে পড়বে শত শত পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪/৫ বছর ধরে চাতলপাড়ের বিভিন্ন গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়েছে। নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে অনেক ঘর বাড়ি দোকান পাট।চাতলপাড় চকবাজার, বড় বাজার,বিলেরপাড় ও দুর্গাপুরে কুটি কোটি টাকা সম্পদ গিলে নিচ্ছে নদী।ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অনেকেই হয়ে পড়েছে ভিটেমাটি হীন । জরুরি ভিত্তিতে এই ভাঙনরোধ করা না হলে বিলীন হয়ে যাবে গ্রাম।সম্প্রতি চাতলপাড় নদী ভাঙন পরিদর্শনে আসেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনা নাছরিন। সঙ্গে ছিলেন, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী রবিউস সারোয়ার, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান, চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতীবৃন্দ,সুশীল সমাজের মানুষ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গরা।
পরিদর্শকালে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনা নাছরিন বলেন, আমি নদী ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখেছি, জনস্বার্থে নদী ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান বলেন, আমি সকাল থেকেই চাতলপাড় নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি, প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি দ্রুত নদী ভাঙন রোধ করে এলাকাবাসীকে রক্ষা করুন।