দৈনিক সংকেত ডেস্কঃ দুনিয়ার মোহে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়ার সব সুবিধা থাকা সও্বে, আপনি যে এইসব থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখছেন তাও কম কিসের. বিলাসিতা করার হাজারটা উপায় থাকা সও্বে ও এই যে আপনি সাদামাটা আরো দশপাঁচটা মানুষ এর মতো জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন তাও কম কিসের।
এই যে মানুষজনের ধনুকের তীরের মত কথা,যা শুনে আপনার অন্তর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। তারপর ও আপনি যে ধৈর্যধারন করছেন- এইসব কম কিসের।
চাইলে তো আপনিও কথার উত্তর দিতে পারেন,মানুষেকে আর্কষিত করার জন্য চাকচিক্যময় জীবন যাপন করতে পারেন। প্রেমের নামে প্রেমিক/প্রেমিকা ও জোটাতে পারেন,চাইলেই ছেলে/মেয়েদের সাথে দিনরাত আলাপ করে আপনার একাকিত্ব সময়গুলো দিব্যি পার করে দিতে পারেন!
কিন্তু তা না করে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখেই আপনি যে নিজেকে সাধারন করে রেখেছেন। এতে আপনি দুনিয়ার কারো কাছে গ্রহনযোগ্য না হলে ও চলবে।চাকচিক্য কয়দিন থাকে বলুন।
ছোট থেকে বড় হতে হতে চারপাশের মানুষজনের আসল চেহেরা দেখে যে এখন আপনি মানুষজনকে আপন করতে ভয় পান,বন্ধুত্ব নামক শব্দ থেকে দূরে থাকার এত চেষ্টা করেন। মাঝেমাঝে হয়তো আপনি ও দিকহারা হয়ে পড়েন,দুনিয়া নামক মরিচিকাও টানে আপনাকে ভীষন! কিন্তু আপনি যে সবকিছু ছাড়িয়ে নিজেকে একটু আগলে রাখার চেষ্টা করেন -তা ও কম কিসের।
ধৈর্যের ফল মিষ্টি জানেন তো?চারপাশের মানুষজনের বাকাঁ কথার উত্তর সময় একদিন ঠিকই দিয়ে দিবে।নিজেকে ঘরকুনো, একলা, দুর্বল ভাববেন না। বিশ্বাস করুন আপনিই সবচেয়ে শক্তিশালী। ভরসা রাখুন একমাত্র সৃষ্টিকর্তার প্রতি। সময় সবকিছু একদিন ঠিক ঠিক বুঝিয়ে দিবে। শুধুমাত্র নিজেকে হারাবেন না।দুনিয়ার জন্য নিজের সিদ্ধান্ত কে পরিবর্তন করবেন না।দেখবেন দিনশেষে আপনিই হবেন সবচেয়ে সুখী মানুষ।