ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে চলাচলের রাস্তায় বন্ধ

মোঃ কেফায়েত উল্লাহ শরীফঃ  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া যাত্রাবাড়ি এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে জোড়পূর্বক চলাচলের রাস্তায় বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয়দের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকেরা খের, ধান, ও গরু-ছাগল নিয়ে অসুবিধায় পড়েছেন। রাস্তাটির শেষলগ্নে প্রায় দু্ই তিনশত বিঘা ধানের জমি ও অন্যান্য ফসলাদি আবাদ করে।

 চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় দূর্ভোগে রয়েছেন কৃষকেরা। এমনকি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে অনেকের বিয়ে-শাদীও আটকে পড়েছে। রাস্তার শেষাংশে একটি মোরগের খামার আছে খামার মালিক আবু হানিফ মিয়া প্রতিবেদকের সাথে কথা বলে জানায় সেই খামারের মালামাল এ রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার কারণে নিতে না পারায় একটা ফ্যামিলি ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার শুরুর দিকে ঠিক থাকলেও মধ্য বরাবর গোলাপ মিয়া ও তার স্ত্রী আরজুদা বেগম জোরপূর্বক বাঁশ, সিমেন্টের পালা ও ইটের স্তুপ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। এবং শেষের দিকে বারেক মিয়া ও আরশ মিয়া প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই রাস্তাটি দিয়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে এলাকাবাসী চলাচল করে আসছেন। হঠাৎ করে পারিবারিক কলহের জেরে সামান্য একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে জোর পূর্বক গোলাপ মিয়া ও আরজুদা বেগম রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এবং বারেক মিয়া ও আরশ মিয়া রাস্তা বন্ধ উন্মুক্ত না করার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছেন। এতে স্থানীয় অন্তত শতাধিক মানুষ বিপাকে পড়েছেন। রাস্তার সবার জন্য উন্মুক্ত করার দাবী স্থানীয়দের।
রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এক ব্যাক্তি বারেক মিয়া ও তাহার ছেলের সাথে কথা বললে তারা জানান,  রাস্তা বন্ধ রাখতে যে ধরনের পদক্ষেপ দরকার তারা করবেন। এই চলমান রাস্তার উপরে ইট দিয়ে বাউন্ডারি দিবেন এই ধরনের কথা ও তারা বলেন।
স্থানীয় সাবেক মেম্বার মিয়া হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তাটি দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই আমাদের বাবা ও দাদারা চলাচল করে আসছেন আমাদের বাপ দাদারা উদার মনের মানুষ ছিলেন তাদের মধ্যে কোনরকম হিংসা-বিদ্বেষ ছিল না। এখন পারিবারিক সামান্য একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এই শতাধিক মানুষের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাটির সমস্যা সমাধানের জন্য আমি সাবেক মেম্বার হিসেবে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু এরা কেউ আমাকে মূল্যায়ন করেনি এবং আমার কথা শুনেনি এবং এলাকাবাসীর কথাও তারা শুনেনি।
এই সাবেক মেম্বার মিয়া হোসেন তিনি আরো জানান এই রাস্তাকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় মারামারি সহ খুন, মার্ডারের সম্ভাবনা বিরাজমান রহিয়াছে তাহার জোর দাবি  প্রশাসন যদি এ রাস্তাটি উদ্ধার করে দেই তাহলে এই রাস্তার আশেপাশের প্রায়  শতাধিক লোকের অনেক উপকার হবে এবং জমিতে কৃষকেরা আনন্দ উল্লাসে ধান ও ফসলাদি উৎপাদন করিয়া সহজে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন এর সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।