ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  ইসলাম ও জীবন

আহলান সাহলান আরবি নববর্ষ  ১৪৪৭ হিজরি 

 মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান; 

হিজরি সন গণনা করা হয় চান্দ্রমাসের হিসেব অনুযায়ী। মুহাররম মাস থেকে হিজরি নববর্ষ শুরু হয়,আর জিলহজ্জ মাসে শেষ হয়।হিজরি সনের সাথে  ইসলামের ইবাদত-বন্দেগি ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। যেমন রোজা,হজ,যাকাত,ঈদ, কুরবানী সহ নানান ইবাদত-বন্দেগি।

এজন্য চান্দ্রমাসের হিসাব রাখা মুসলমানদের জন্য ফরজে কিফায়া।অর্থাৎ মুসলমানদের পক্ষ থেকে একটি দল যদি এর হিসেব রাখে, তাহলে সবার পক্ষ থেকে ফরজের জিম্মাদারি আদায় হয়ে যাবে। আর যদি কেউ হিসেব না রাখে, তাহলে সকলে ফরজ পরিত্যাগ করায় গুনাহগার হবে।
আরবি হিজরি সনের প্রথম মাস মুহাররম, মুহাররম শব্দের অর্থ নিষিদ্ধ, সম্মানিত, মর্যাদাসম্পন্ন। হিজরি সনের প্রথম মাস হিসেবে মুহাররম মাসের ফযিলত, গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। হুজুর (সা:)এর মক্কাশরিফ থেকে মদীনা শরিফ হিজরত করে চলে যাওয়ার তাৎপর্যকে স্বরণীয় করে রাখার নিমিত্তেই পরবর্তীতে হিজরি সনের প্রবর্তন করা হয়।
মুহাররম মাসে নির্দিষ্ট কোনো এবাদত না থাকলেও এ মাসে এবাদত করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, রমজান মাসের রোযার পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোযা আল্লার মাস অর্থাৎ মুহাররম মাসের রোযা।( মুসলিম শরিফ, হাদিস – ১১৬৩)। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন যে, আমি আল্লাহতায়ালার দরবারে আশা রাখি যে, মুহাররম মাসের ১০ তারিখের রোযা, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী একবছরের গুনাহের কাফফারা আদায় হবে। ( মুসলিম শরিফ, হাদিস ১১৬২)।সুতরাং ১০ মুহাররম রোযা রাখা এবং তার আগে বা পরে আরও একটি রোযা রাখা অর্থাৎ মুহাররম মাসের ৯-১০ অথবা ১০-১১ তারিখে রোযা রাখা মুস্তাহাব।
তবে কেউ যদি শুধু মুহাররম মাসের ১০ তারিখে রোযা রাখে তাহলে তার রোযা হবে, তবে তা মাকরুহে তানযিহী।