মোঃ ফখরুদ্দিনঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলে যানজটে আটকা পড়া ২টি মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দুটি মাইক্রোবাসের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইলসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভোরে মহাসড়কের সরাইলের শাহবাজপুর ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতের কবলে পড়া একটি মাইক্রোবাসের যাত্রী এমএইচসি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রুবেল আরিফ জানান, তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিলেটে বেড়াতে যাওয়ার সময় তাদের মাইক্রোবাসটি অন্যান্য যানবাহনের সাথে শাহবাজপুর এলাকায় যানজটে আটকে পড়ে।
ভোর আনুমানিক পৌনে ৪টার দিকে ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ নিয়ে অতর্কিত তাদের এবং পাশের একটি মাইক্রোবাসে হামলা করে তাদের গাড়ি থেকে নগদ দুই লাখ টাকা, ৫টি দামি মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে যায়। পাশের মাইক্রোবাস থেকেও লক্ষাধিক টাকাসহ ৩/৪ টি মোবাইল লুটে নিয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনা ঘটার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরাইল থানার এস আই আবীর আহমেদের নেতৃত্বে সরাইল থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য এস আই আবীর আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মহাসড়ক হাইওয়ে পুলিশ দেখভাল করে। তবে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন, একদল যুবক মাইক্রোবাসের যাত্রীদের কাছ থেকে ৩/৪টি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই যুবকরা চলে যায়। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগও করেননি।
বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিশ্বরোড গোলচত্বর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকায় এবং ঘটনাস্থল সরাইল থানা পুলিশ দেখভাল করায় তিনি এ ধরনের কোন খবর পাননি।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় গত বুধবার রাতে বালিবাহী একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়লে গতকাল দিনভর ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতেও ওই এলাকায় যানজট অব্যাহত ছিল।