ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  হত্যা:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবা হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

সুলতানা রাজিয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ীর হত্যাকান্ডের ঘটনায় একমাত্র ছেলে ফাহাদ হাসান মাহমুদুলকে  আটক করা হয়েছে। ছেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার(১১ই সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে  হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ফাহাদ হাসান মাহমুদুল হত্যাকান্ডের শিকার আলম মিয়ার একমাত্র ছেলে।  দেড় বছর আগে বিয়ে করা মাহমুদুল পিতার ব্যবসা দেখাশোনা করতো।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের মুন্সি পাড়ার নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আলম মিয়া ওই ইউনিয়নের উয়াহেদ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে রড সিমেন্টের ব্যবসা করতেন।
এ ঘটনায় আলম মিয়ার ছেলে আটকৃত মাহমুদুল বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায়  একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের  তদন্তের দ্বায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়, প্রায় দুই বছর আগে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আলম মিয়া লাখাই উপজেলার মানপুর গ্রামের আমেনা বেগমকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর থেকেই সন্তান নেওয়া নিয়ে দাম্পত্য জীবনে বিরোধ তৈরি হয় আলম ও আমেনার মধ্যে। এ নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতে থাকায় আমেনা হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
কিন্তু পিবিআইয়ের তদন্তে অন্যকিছু দেখতে পায় ।  গত ১০ সেপ্টেম্বর ( বুধবার)  আটক করা হয় নিহতের একমাত্র ছেলে মাহমুদুলকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হয়।
নিহতের বড় মেয়ে রাফা বলেন, আমাদের কথা বলে নিষেধ করেছে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, মূলত বাবার সম্পত্তির জন্যই মাহমুদুল এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ  পরিদর্শক মোহাম্মদ বেলাল বলেন, মামলা তদন্তধীন রয়েছে।  আলম মিয়ার ছেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পাইপটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।